Nonprofit Organization Management - Chittagong, Chittagong Division, Bangladesh
লিও ক্লাব কী?লিও ক্লাব হচ্ছে একটা আন্তর্জাতিক যুব সংগঠন। এটা "Lions Clubs International" এর একটা অঙ্গ সংগঠন। Leo শব্দটা Lion থেকে এসেছে। ক্লাবের প্রত্যেক সদস্য সম্মান বা উপাধি হিসেবে তাদের নামের আগে "লিও" শব্দটি ব্যবহার করেন। তাই এর মাধ্যমে কোন বংশের পরিচয় বুঝায় না, বরং এটা আন্তর্জাতিক যুব সংগঠন "লিও" ক্লাবের "সদস্য" বুঝায়। LEO শব্দটার একটা elaboration বা, motto আছে। যেখানে L= Leadership, E= Experience, O= Opportunity কে বুঝায়। এর প্রধান অফিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।* বিঃদ্রঃ লায়ন্স ক্লাব কী?লায়ন্স ক্লাব হচ্ছে বিশ্বের মানবসেবা প্রিয় ব্যক্তিদের একটা সংগঠন। যারা তাদের সম্পদের একটা অংশ সমাজে অবহেলিত এবং বঞ্চিত মানুষের সেবায় ব্যয় করে (বিল গেটস্, মার্ক জাকার্বাগ, আম্মানি, এমনকি আমাদের প্রধানমন্ত্রীও এর সদস্য)। যেমন বাংলাদেশে লায়ন্স ক্লাব স্বাস্থ্য সেবা, বিশেষ করে চক্ষু সেবা এবং ভিটামিন টিকা দেওয়ার কাজ করে। বাংলাদেশে বর্তমানে লায়ন্স ক্লাবের নামে জি.ই.সি তে "লায়ন্স চক্ষু হসপিটাল" নামে একটা স্বতন্ত্র হাসপাতাল আছে। তাছাড়া পোলিও টিকা ক্যাম্পেইনেও লায়ন্স ক্লাবের ভূমিকা আছে। এটা ১৯১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়, সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।#লিও প্রতিষ্ঠিত হয় কিভাবে?আজ থেকে প্রায় ৫৯ বছর পূর্বে ১৯৫৭ সালে আমেরিকার পেলসেলভিনিয়া অঙ্গরাজ্যের মাল্টিপল জেলা-১৪ এর অন্তর্গত সাব-ডিসট্রিক্ট-১৪ এর অধীনে এভিংটন স্কুলের বাস্কেটবল টিমকে নিয়ে "এভিংটন স্কুল লিও ক্লাব" নামে লায়ন জিম গ্রাভারের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম লিও ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। যার অভিভাবক লায়ন্স ক্লাব হিসেবে ছিল "গ্লেন-সাইড লায়ন্স ক্লাব"।আর বাংলাদেশে লিও ক্লাবের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে "কমলাপুর লিও ক্লাব" প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। যার স্পন্সর লায়ন্স ক্লাব ছিল "ধানমন্ডি লায়ন্স ক্লাব"। লিও ক্লাব অব ঢাকা গেন্ডারিয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় লিও ক্লাব, যা প্রতিষ্টিত হয়েছে ১৯৭৪ সালের ১৯শে জুন ।প্রত্যেকটা লিও ক্লাবেরই একটা স্পন্সর লায়ন্স ক্লাব থাকে। যেমন "লিও ক্লাব অব চিটাগং রোজ ভ্যালি " এর স্পন্সর লায়ন্স ক্লাব হচ্ছে "লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং রোজ ভ্যালি "। বর্তমানে প্রায় ৬,০০০টি লিও ক্লাব, এবং প্রায় ২,০০০০০ জন লিও, লায়ন্স ক্লাবের সাথে বিশ্বের প্রায় ২১০ টি দেশে কাজ করছে। যেখানে লিও ক্লাবের সংখ্যায় বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম স্থানে